বাসা-বাড়িতে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নেয়ার সহজ পদ্ধতি!

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বাসা/বাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠানে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন, কীভাবে কী করবেন। কিন্তু কিছু পদ্ধতি মেনে সহজেই নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে নেয়া সম্ভব। প্রথমেই বিদ্যুতের নতুন সংযোগ স্থাপনের জন্য আবেদনকারীকে উপজেলা/জেলা বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করতে হবে। তারপর ক্যাশ শাখায় সমীক্ষা ফি জমা দিতে হবে। ফি জমা দেয়ার পর সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান ওয়্যারিং পরিদর্শককে প্রাথমিক সমীক্ষার দায়িত্ব প্রদান করবেন। সমীক্ষা শেষে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের যথার্থতা পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করে গ্রাহককে জানানো হবে।

 

পরবর্তীতে গ্রাহককে জানানো হলে, গ্রাহক ওয়্যারিং সম্পাদন করবেন এবং ওয়্যারিং যথাযথ আছে কিনা তা ওয়্যারিং পরিদর্শক, পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদান করবেন। রিপোর্ট যথাযথ থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য গ্রাহককে ক্যাশ শাখায় নিরাপত্তা জামানত জমা করতে হবে। অতঃপর গ্রাহকের প্রতিষ্ঠানে মিটার প্রদান করে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লাইন নির্মাণের জন্য সমীক্ষা করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান লাইন নির্মাণ খরচ বহন করবেন।

 

ফি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে প্রয়োজনীয় ফি লাগবেঃ ১০০-৩১২৫ টাকা। বাড়ি/বাণিজ্যিক/দাতব্য প্রতিষ্ঠানে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন ফিঃ ১০০-২০০০ টাকা সমীক্ষা ফি জমা দিতে হবে। সেচ সংযোগের ক্ষেত্রে আবেদনের সাথে ২৫০ টাকা সমীক্ষা ফি জমা দিতে হবে। যেকোন ধরনের অস্থায়ী সংযোগের জন্য ১৫০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে।

  

শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সংযোগের ক্ষেত্রে; জিপিঃ ২৫০০ টাকা এবং এলপিঃ ৫০০০ টাকা পোল স্থানান্তর/লাইন রুট পরিবর্তন/সমিতির মাধ্যমে স্থাপিত অন্য গ্রাহকের সার্ভিস ড্রপ স্থানান্তরের জন্যঃ ৫০০ টাকা। নতুন সংযোগের জন্য জামানতের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা। ৫ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে সংযুক্ত লোড (কি.ও. অথবা কেভিএ × ০.৯০) × ৮ ঘণ্টা × ২৫ দিন × ২ মাস × বিদ্যুৎ মূল্য হার (টাকা/প্রতি কি.ও.ঘ. সেচ (অগভীর নলকূপ সংযোগের ক্ষেত্রে জামানতের পরিবর্তে অগ্রিম বিদ্যুৎ বিল (১২৫.০০ টাকা × ৫ মাস × অশ্বশক্তি) যেমন ৫ অশ্বশক্তি =১২৫ × ৫ × ৫ = ৩১২৫.০০ টাকা সর্বনিম্ন অগ্রিম বিদ্যুৎ বিল = ৩০০০.০০ টাকা)।

 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: নতুন সংযোগের জন্য আবেদনপত্রের সাথে নিম্নোক্ত দলিলাদি দাখিল করতে হবেঃ সংযোগ গ্রহণকারীর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি। জমির মালিকানা দলিলের সত্যায়িত কপি। লোড চাহিদার কাগজপত্র। জমি/ভবনের ভাড়ার দলিল (যদি প্রযোজ্য হয়)। ভাড়ার ক্ষেত্রে মালিকের সম্মতিপত্রের দলিল। পূর্বের কোনো সংযোগ থাকলে ঐ সংযোগের বিবরণ ও সর্বশেষ পরিশোধিত বিলের কপি।

 

অস্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে গ্রাহক শ্রেণির বিবরণ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। ট্রেড লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। সংযোগস্থলের নির্দেশক নকশা। শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের নিমিত্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্লান্ট স্থাপন (শিল্প ও বৃহৎ বাণিজ্যিকের ক্ষেত্রে)
বহুতল আবাসিক/বাণিজ্যিক ভবন নির্মাতা ও মালিকের সাথে ফ্ল্যাট মালিকের চুক্তিনামার কপি।

তথ্যসূত্র: মিনিষ্ট্রি অব পাওয়ার এ্যানার্জি।

Facebook Comments
error: Content is protected !!