নিজের শেখা থেকে সবসময় সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে ৫ টি উপায় রয়েছে যেগুলো আমাদের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে।
আমাদের বেশিরভাগ মানুষই এটা চিন্তা করে না কিভাবে শিখতে হবে। সাধারণত আমরা মনে করি আমরা এমনিই সব শিখতে পারব। সাধারণত আমরা অন্যের কথা শুনি এবং তার বক্তব্যকে ধারণ করার চেষ্টা করি, কিন্তু তাই সব না। আসলে বয়সের সাথে সাথে প্রকৃত শিক্ষা পেতে হলে অনেক কাজের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন বিষয়, তথ্য ও অভিজ্ঞতা নিয়ে যত বেশি চিন্তা করা হয়, ততই আপনি বিভ্রান্ত হয়ে পরবেন। তাছাড়া, একেক জন একেকটি বিসয় নিয়ে একেকভাবে ভাবতে পারে, সেগুলো থেকে যে ধারণার তৈরি হয় তা উল্টো ফলও ঘটাতে পারে। তবে যে যত বেশিই জানুক না কেন, মুক্তমনে চিন্তা করাতে পারাটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় ।
শেখার প্রয়োজনীয়তা কখনো শেষ হয় না। কেননা স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের জন্য সবসময় শেখার চেষ্টা করতে হয়। পৃথিবী প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে, আর সেই সাথে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ধারণার। সেগুলোকে নিজের জীবনের সাথে মানিয়ে নিলেই তা প্রাসঙ্গিক হতে পারে। এখানে কতগুলো নিয়ম রয়েছে যেগুলো যে কোন বয়সের মানুষকে আরও বেশি চৌকস এবং দক্ষ করে তুলে।
১।নিজের ভিতরের বক্তব্যকে গোপন রাখাঃ
দেখা যায় আমরা যখন কাউকে শুনি, তখন নিজের মনেই কোন না কোন কথা বলতে থাকি। এটা হল আমাদের সামনে পরিবেশিত তথ্যের ব্যাপারে আমাদের মতামত। এই মতামত আমাদেরকে কখনো অন্যের বক্তব্য আরও ভালভাবে শুনতে আগ্রহী করে তুলে, আবার কখনো অনাগ্রহী করে তুলে। কিন্তু অন্যের কথা শুনার সময় নিজের ভিতরের মতটিকে গুরুত্ব না দিয়ে, বক্তার কথার উপর মনোযোগ দেয়া উচিত।
২। নিজের সাথে তর্ক করাঃ
নিজের ভেতরকার মতকে যদি আমরা নিবৃত্ত করতে না পারি, তাহলে অন্তত সেটিকে কাজে লাগানো উচিত। প্রায়ই আমরা অন্যদের বক্তব্যের বিরুদ্ধ মত পোষণ করতে থাকি। সেটি না করে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিটি বিবেচনা করা উচিত। নিজেকে বোঝানো উচিত যে এটা হতেই পারে যে আপনি ভুল করছেন এবং অন্যের চিন্তাটি ঠিক।
৩। কৌতূহলী হওয়াঃ
কিছু মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই কৌতূহলী, আবার কেউ নয়। কেউ কৌতূহলী হোক বা না হোক কৌতূহলী আচরণ করলে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। এতে করে পরবর্তীতে করার মত বেশ কিছু প্রশ্ন পাওয়া যায়। আমরা কারও বক্তৃতা শুনলে প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করতে পারি, কিংবা যদি কারো সাথে কথা বলি তবে তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারি। এভাবে প্রশ্ন করে জানার মাধ্যমে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা যায়। তাই এই কৌতূহল প্রবণতা মানুষের উপকার বই অপকার করে না।
৪। সত্যের মূল খুঁজে বের করাঃ
কোন ধারণা বা তত্ত্বই বাতাস থেকে উড়ে আসেনা। যে কোন সম্প্রসারিত ধারণা যা আপাতদৃষ্টিতে গুজব বলে মনে হয়, দেখা যায় তার ও কোন না কোন ভিত্তি থাকে। যদি কোন ধারণা আমাদের প্রয়োজনের নাও হয়, তবুও অন্তত তার সত্যের ভিত্তিটা আমাদের জানা উচিত। আমাদের উচিত একজন গোয়েন্দার মত বুঝে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করা। এভাবে কোন বক্তার প্রকৃত মতামত সম্পর্কে আমরা আমাদের ধারণার বিকাশ ঘটাতে পারি।
৫। বার্তাবহ কে গুরুত্ব না দিয়ে বার্তার উপর গুরুত্ব দেয়াঃ
মানুষ প্রায়ই বার্তাবহের উপর নির্ভর করে বার্তাটিকে অবজ্ঞা করে। এমন হয় যখন বক্তা বিরক্তিকর হয় কিংবা বক্তব্য উপস্থাপন আকর্ষণীয় না হয়। কিন্তু এ ধরনের অবজ্ঞা আমাদের জানার প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়ায়। এসব ক্ষেত্রে বার্তাটিকে বক্তা থেকে আলাদা করে ফেলা দরকার। তথ্যগুলোকে তখন এমনভাবে নেয়া উচিত যেন বক্তাকে আমরা চিনি না। তাহলেই ঐ তথ্য আমাদের ধারণা স্পষ্ট করতে সহায়ক হবে।