Woman measuring her weight using scales on floor
অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে খাবারদাবার খেতে হবে বেছে বেছে। তাই বলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে পুষ্টিকর খাবার বাদ দিলে চলবে না।
স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন কমাতে গেলে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে শাবসবজির কথা। পাঁচটি সবজি রয়েছে যেগুলো অতিরিক্ত ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক।
পালংশাক: এই সবুজ সবজি নানা ধরনের পুষ্টিগুণে ঠাসা। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে। পালংশাকে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম। পালংশাক শুধু যে ওজন কমাতে সহায়তা করে তাই নয়, টাইপ- ২ ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ এবং কোনো ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।
ব্রোকলি: ব্রোকোলিকে নিউট্রিয়েন্ট পাওয়ারহাউস বলা যেতে পারে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং আয়রন রয়েছে। ব্রোকলিতে আছে প্রচুর ফাইবার এবং ক্যালোরি কাউন্ট বেশ কম। সেই কারণে ওজন কমাতে অত্যন্ত উপকারী এই সবজি।
ক্যাপসিকাম: এর মধ্যে আছে ভিটামিন সি, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ই, বি৬ এবং ফলিত। ক্যাপসিকাম রান্না করা বেশ সহজ এবং এটি সহজেই অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যায়। রঙিন এই সবজি জলের পরিমাণও বেশি। ক্যাপসিকাম আমাদের মেটাবলিজমের হার বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
টমেটো: টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন। টমেটো ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। পাশাপাশি নিয়মিত টমেটো খেলে বহু ক্রনিক অসুখের থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। আপনি তরকারিতে টমেটো মেশান বা স্যালাডে, এটি যেমন স্বাদু তেমনই স্বাস্থ্যকর।
মিষ্টি আলু: দুটো বড় মিলের মাঝে হালকা কিছু খেতে হলে স্ন্যাক হিসেবে আলু দারুণ উপকারী। মিষ্টি আলুতে প্রচুর ফাইবার এবং কমপ্লেক্স কার্ব আছে। এটি ত্বকের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী। আলুর বদলে আপনি মিষ্টি আলু খেতে পারেন।