আপনার চোখে তো বেশ ভালো মতই দেখতে পাচ্ছেন। শুধু মাঝে মাঝে একটু মাথা ব্যথা করে। কিন্তু ডাক্তারের কাছে যেতেই মোটা কাঁচের একটি চশমা ধরিয়ে দিলো। আপনার মত এমন সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। আগে থেকে বুঝতে পারেন না চশমা লাগবে কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলে দেখা যায় চোখের অবস্থা বেশ খারাপ। তাহলে কিভাবে বুঝবেন আপনার চশমা প্রয়োজন? আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে জানবেন আপনার চশমা লাগবে।
*আপনার বাচ্চা যদি চোখ কুঁচকে ছোট করে কিছু দেখে অথবা চোখ বড় বড় করে দেখার চেষ্টা করে তাহলে বুঝবেন তার চশমা প্রয়োজন। আপনার ও যদি চোখ ছোট করে দেখার প্রবণতা থাকে তাহলে শীঘ্রই চোখের ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।
*আপনি খেলা দেখছেন কিন্তু সোফায় বসে খেলার স্কোর দেখতে পাচ্ছেন না। অথবা বিল বোর্ডের ছোট লেখা গুলো ঝাপসা লাগছে। তাহলে আপনার বুঝে নিতে হবে আপনার চশমা প্রয়োজন। দূরের কোনো লেখা বা দূরের মানুষের চেহারা ঝাপসা দেখলে চোখের ডাক্তারের কাছে চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিন একবার।
চোখ ছোট করে অথবা বড় করে দেখা
*চোখের দৃষ্টি সমস্যার অন্যতম একটি উপসর্গ হলো ঘন ঘন মাথা ব্যাথা করা। বেশিক্ষণ পড়াশোনা করলে অথবা অনেকক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করার পর যদি মাথা ব্যাথা করে তাহলে বুঝে নিতে হবে চশমা প্রয়োজন। তাই এই ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।
চোখের খুব কাছে অথবা দূরে রেখে পড়া
*স্বাভাবিক দূরত্বে বই রেখে যদি পড়তে অসুবিধা হয় এবং এক্ষেত্রে চোখের বেশি কাছে নিয়ে পড়তে হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার দৃষ্টিশক্তি কমে গেছে। আবার স্বাভাবিক দূরত্বের চাইতে বেশি দূরে যদি পরিষ্কার দেখায় তাহলেও আপনার পজিটিভ পাওয়ারের চশমার প্রয়োজন হতে পারে। তাই বই বা পত্রিকা পড়ার সময় কাছের বা দূরের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের কাছে চোখ দেখিয়ে নেয়া উচিত।
*দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে চোখকে বেশ কষ্ট করে দেখতে হয়। ফলে চোখ খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই কিছুক্ষণ পড়াশোনা অথবা কম্পিউটারে কাজ করার পরেই যদি চোখকে ক্লান্ত মনে হয় তাহলেও একবার চোখের ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে।
হয়তো আপনাদের মনের মত পোস্ট দিতে পারি না। কারন আমরা অত ভালো লেখক নই। তারপরেও নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করি ভাল কিছু পোষ্ট আপনাদের দেয়ার জন্য। আশা করি লাইক শেয়ার করে আমাদের আরো উৎসাহিত করবেন।