 
                                            
                                                                                            
                                        প্রযুক্তি নির্ভর যুগে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেক সময় ফোন হ্যাং করে গেলে আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ ব্যাহত হয়।
আর ব্যস্ত এ জীবনে ফোনের গতিতে সমস্যা তৈরি হলে তা হতে পারে বিরক্তিকর ও হতাশাজনক। তবে কিছু সাধারণ কারণ এবং সমাধান জানা থাকলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে সহজেই।
চলুন জেনে নেই ফোন হ্যাংয়ের সাধারণ কারণগুলো ও সমাধানের কিছু টিপস সম্পর্কে-
১. ফোনের স্টোরেজ খালি করুন
ফোনের স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে সেটি হ্যাং করার সম্ভাবনা থাকে। স্টোরেজে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস, ফাইল বা মিডিয়া জমা থাকলে ফোন ধীরগতির হয়ে যায়।
স্টোরেজ খালি করতে অপ্রয়োজনীয় ফাইল, পুরোনো ছবি, ভিডিও বা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ডিলিট করুন। এ ছাড়া গুগল ফটো বা অন্যান্য ক্লাউড স্টোরেজে ছবি ও ফাইল সংরক্ষণ করে ফোনের স্টোরেজ খালি রাখতে পারেন।
২. অ্যাপ ক্যাশ পরিষ্কার করুন
অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করার ফলে ক্যাশ মেমোরি জমা হয়, যা ফোনকে ধীরগতির করে। ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ ক্যাশ ক্লিয়ার করলে ফোনের গতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। প্রতিটি অ্যাপের ক্যাশ আলাদাভাবে ক্লিয়ার করতে পারেন, বিশেষ করে সেই অ্যাপগুলো যা বেশি স্পেস ব্যবহার করে।
৩. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ রাখুন
ফোনে একাধিক অ্যাপ খোলা থাকলে র্যাম এর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, ফলে ফোন হ্যাং করে। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি বন্ধ রাখুন। এটি ফোনের গতি বাড়াতে সহায়ক হবে। আপনি ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ ম্যানেজার ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ফোর্স স্টপ করতে পারেন।
৪. সফটওয়্যার আপডেট করুন
ফোনের সফটওয়্যার পুরোনো হলে এটি ধীরগতির হয়ে যেতে পারে। ডেভেলপাররা নিয়মিতভাবে নতুন আপডেট প্রদান করেন, যা ফোনের পারফরম্যান্স উন্নত করে।
তাই ফোনে সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘সফটওয়্যার আপডেট’ অপশন থেকে এটি পরীক্ষা করে নিন।
৫. অ্যাপ আপডেট করুন
সফটওয়্যারের মতো অ্যাপগুলোও আপডেট থাকা জরুরি। পুরোনো অ্যাপস ফোনে বেশি স্পেস নেয় এবং ধীরগতির কারণ হতে পারে। তাই প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে নিয়মিত অ্যাপস আপডেট করুন।
৬. অ্যাপ ডিলিট বা আনইনস্টল করুন
ফোনে অনেক সময় এমন কিছু অ্যাপ ইনস্টল করা থাকে, যা আমরা প্রায়ই ব্যবহার করি না। এই ধরনের অ্যাপগুলো ফোনের স্টোরেজ নষ্ট করে এবং ফোনকে ধীরগতির করে। এই সমস্যার সমাধান করতে কম ব্যবহৃত বা ব্যবহৃত না হওয়া অ্যাপগুলো আনইনস্টল করুন।
৭. অ্যানিমেশন ও ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস কমিয়ে দিন
ফোনের অ্যানিমেশন বা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসগুলো ফোনের র্যাম এবং প্রসেসরের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি ফোনের ডেভেলপার অপশন চালু করে অ্যানিমেশন স্কেল কমিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয় প্রসেস বন্ধ করে রাখুন।
৮. ফোনটি রিস্টার্ট করুন
ফোন অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ চালু থাকলে র্যাম পূর্ণ হয়ে যায় এবং ফোন হ্যাং করতে শুরু করে। ফোনটি রিস্টার্ট করলে র্যাম রিফ্রেশ হয় এবং ফোনের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পায়। রিস্টার্ট করার মাধ্যমে ফোনকে নতুনের মতো গতিময় করা যায়।
৯. ফ্যাক্টরি রিসেট করুন
যদি উপরের সমাধানগুলো কাজ না করে, তবে ফোনের সফটওয়্যার সমস্যার সমাধানে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারেন। ফ্যাক্টরি রিসেট করার মাধ্যমে ফোনের সমস্ত ডেটা মুছে যাবে এবং ফোনটি নতুন অবস্থায় ফিরে আসবে। তবে এটি করার আগে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা ব্যাকআপ নিতে ভুলবেন না।
১০. ভাইরাস স্ক্যান করুন
ফোনে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করলে এটি ধীরগতির হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে ফোনকে রক্ষা করতে প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে একটি নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল করুন এবং নিয়মিত ফোন স্ক্যান করুন।