কথায় আছে, কখনও কখনও নীরবতাই সেরা উত্তর। তবে সব সময় মৌনব্রত নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কথা বলার চেয়ে চুপ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছেন, এতে যেমন শক্তিক্ষয় রোধ হয়, তেমনি আত্মস্থ থাকার অবকাশ মেলে।
কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ জেন ফ্লোরেস্কা জানিয়েছেন, নীরবতাও এক ধরনের যোগাযোগ। জীবনের কয়েকটি ক্ষেত্রে চুপ থাকাই উত্তম। এর ফলে বিশেষ কিছু ঘটতে পারে, যা আমাদের ও আমাদের পরিপার্শ্বের পক্ষে লাভজনক।
আসুন জেনে নিই ফ্লোরেস্কা বর্ণিত তালিকা থেকে ৫টি মৌনব্রতের ক্ষেত্র-
১. কারও মৃত্যুর পরে তার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নীরবতা পালন করুন। আত্মীয়ের কাঁধে হাত রেখে চুপচাপ বসে থাকুন। অবান্তর সান্ত্বনা দেওয়ার চেয়ে নীরবতাই এক্ষেত্রে বাঙ্ময়।
২. নিজেকে যখন অস্থির ও বিভ্রান্ত বলে মনে হবে, তখন চুপ করে থাকুন। এই সময়ে কথা বলার ক্ষেত্রে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন আপনি। এক্ষেত্রে বিড়ম্বনা বাড়তে পারে। জট পাকিয়ে ফেলতে পারেন।
৩. কোনো আলোচনা যদি মনোগ্রাহী, নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে চুপ থাকুন। মনোযোগ সহকারে শুনুন।
৪. যে কোনো কাজ করার সময় যতোটা সম্ভব কম কথা বলুন। একে মনঃসংযোগ বাড়বে। দিন শেষে ক্লান্তিবোধও কম হবে।
৫. বাজে তর্ক, উটকো ঝগড়া, অন্যের গীবদ ইত্যাদির সময়ে মৌনব্রত পালন করুন। আখেরে আপনি লাভবান হবেন। সঙ্গে পাবেন মানসিক প্রশান্তি।